সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
কুড়ুলগাছিতে জেলহত্যা দিবসে আ.লীগ নেতা হাশেম রেজা

১৫ আগস্টের পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর 

মো. জিল্লুর রহমান মধু, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)

১৫ আগস্টের পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর 

দর্শনার কুড়ুলগাছিতে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জননেতা হাশেম রেজা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে জাতীয় চার নেতা স্মরণে একটি শোক র্যালি বের করেন। র্যালিটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
 
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার কুড়ুলগাছিতে দলীয় কার্যালয়ে ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা  হাশেম রেজা। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ধারাবাহিকতার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। 

এই চার নেতাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। জাতীয় চার নেতাকে ঘাতকরা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। কারাগারের মতো কঠোর নিরাপত্তা প্রকোষ্ঠে এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনার জন্য দায়ী তৎকালীন পাকিস্তানের তাঁবেদার, ৭১-এর পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত। 

এখনো সেই অপশক্তি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নে বাধা দিতে বিভিন্ন সময় অবৈধ অবরোধ-হরতাল দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। 

তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখবেন— এটাই হোক  জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধী অপশক্তি রুখে দিয়ে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উথুলী ইউনিয়ন আ.লীগ ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি সরফরাজ আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি ইন্নাল শেখ, আন্দলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগ ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জিএস নাসির উদ্দিন বিশ্বাস, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের প্রবীণ নেতা হারুন অর রশিদ মোল্লা, মদনা ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করীম, আশরাফুল মেম্বার,  আ.লীগ নেতা সিরাজ শেখ, আবু বক্কর, আশরাফুল আলম লটু, সাইদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম ডাবলু জেবা, তরিকুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, রুবেল হোসেন, জাহিদুর রহমান, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন, রিপন, আতিয়ার রহমান, জহিরুল ইসলাম, রবিউল হক রবি,  আলফাজ উদ্দিন মন্টু, ছাত্রলীগ নেতা রনজু, আলামিন, রকি, সৌরভ, শুভ, সুজন, সজীব, মাসুম, রিমন, মান্নান, পিনু, হাসান, তনুশাহ প্রমুখ।

টিএইচ